আরবি ভাষা ইন্সটিটিউট
আরবিভাষায় দক্ষতা অর্জনের পথে আমরা দেই পরিপূর্ণতা
স্তর নির্ধারণী পরীক্ষা
উদ্দেশ্যঃ আন-নুর ইনস্টিটিউটে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আরবি ভাষার দক্ষতা যাচাই করা।
আরবি ভাষা পরীক্ষা আন-নুর ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কারিকুলামের মৌলিক অংশ। কেননা এখানে পাঠদানের মূল মাধ্যম হচ্ছে আরবি ভাষা। তাই বিভিন্ন একাডেমিক প্রোগ্রামে আরবিভাষী শিক্ষকের সাথে কথোপকথন ও যোগাযোগের জন্য শিক্ষার্থীর মধ্যে পর্যাপ্ত ভাষাজ্ঞান থাকা আবশ্যক।
আরবিভাষী নয় এমন যেকোন শিক্ষার্থীকে তার উপযোগী (প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চতর) স্তর নির্ধারণের জন্য ‘স্তর নির্ধারণী পরীক্ষা’য় অংশ নিতে হবে। এই পরীক্ষায় মৌলিকভাবে আরবি ব্যকরণ, শব্দার্থ, পাঠ ও উচ্চারণ ইত্যাদি বিষয়ে তার দক্ষতা মূল্যায়ন করা হবে। যার ভিত্তিতে শিক্ষকগণ প্রতিটি শিক্ষার্থীর সক্ষমতা-দুর্বলতার দিকগুলো চিহ্নিত করে তার উপযুক্ত পাঠদান নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে। আভ্যন্তরীণ এই পরীক্ষার ফলাফলকে ভিত্তি করেই শিক্ষার্থীকে উপযুক্ত ক্লাস বা কোর্সে ভর্তি নেয়া হবে। এর মাধ্যমে তার যথাযথ পরিচর্যা ও সহযোগিতা নিশ্চিত হবে।
আরেকটি বৈশিষ্ট হলো এ পরীক্ষার ফলাফলের আলোকে শিক্ষার্থীর ব্যাপারে একটি সামগ্রিক ধারণা পাওয়া সম্ভব হয় এবং সে আলোকে সময় ও প্রয়োজনের প্রতি লক্ষ্য রেখে পাঠ্যক্রম ও পাঠদান পদ্ধতি সমন্বয় করা যায়। এটি আরবি ভাষা ইনস্টিটিউটের পাঠদানের গুণগত মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
পরীক্ষায় ইসলামি শাস্ত্রসমুহের অন্তর্ভুক্তি: কুরআন – হাদিস – ফিকহ ও তৎসংশ্লিষ্ট গ্রন্থসমূহ, আরবি কবিতা – গদ্য সাহিত্য ইত্যাদি পরীক্ষার প্রশ্নে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ক্লাসিক আরবি পাঠ বুঝার যোগ্যতা যাচাই করা হবে। যেহেতু এ বিষয়গুলো আরবিয় সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ, তাই এই টেক্সটগুলো শিক্ষার্থীর আরবি ভাষাদক্ষতা পরিমাপের অন্যতম মাপকাঠি বলে বিবেচিত।
‘আরবিভাষা ইনস্টিটিউট’ -এর সাধারণ বিভাগ ওই সকল শিক্ষার্থীদের জন্য, যারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইসলামি বিভিন্ন জ্ঞানশাস্ত্রে (কুরআন-হাদিস-শরিয়া-বালাগাহ ইত্যাদি বিষয়ে) পাণ্ডিত্য অর্জন করতে আগ্রহী।
ইনস্টিটিউট সাধারণ বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য থিওরেটিক্যাল (তাত্ত্বিক) এবং প্র্যাক্টিক্যাল (অনুশীলন) উভয় মেথডের সমন্বয়ে স্তরভিত্তিক ধারাবাহিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। সাধারণ বিভাগের মেয়াদকাল ১২ মাস / ৪৮ সপ্তাহ যা মোট ছয়টি স্তরে বিভক্ত। প্রতিটি স্তরে গড়ে আট সপ্তাহব্যাপী ২৩৬ ঘণ্টা পাঠদান করা হয়। প্রত্যেক স্তরেই পঠন, শ্রবণ, লিখন এবং কথনের সমন্বয়ে ভিন্ন ভিন্ন ক্লাস থাকে। এক্ষেত্রে আল-আযহার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অনারব শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত পাঠ্যবই আত-তুহফাতুল আযহারিয়্যা সিরিজ থেকে পাঠদান করা হয়।
স্তর নির্ধারণী পরীক্ষার মাধ্যমে নিবন্ধন করার পর প্রত্যেকটি স্তর শেষে নিয়মমাফিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। সর্বশেষ স্তর সমাপ্ত করে চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদেরকে ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ভাষা সনদ প্রদান করা হয়। ফলে পরবর্তী সময়ে একাডেমিক বা পেশামূলক যেকোনো ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ভাষা দক্ষতা কাজে লাগিয়ে উচ্চতর গবেষণা বা ক্যারিয়ার গঠন করতে সক্ষম হবে।
ক্রমিক নং | স্তর | মোট সময় (ঘণ্টায়) | সময় (সপ্তাহ) |
১ | প্রাথমিক A1 |
১৫০-১৬০ ঘণ্টা (৮০ ঘণ্টা ক্লাস + ৭০-৮০ ঘণ্টা গ্রুপ স্টাডি ও নিজস্ব পড়াশুনা) |
৭ সপ্তাহ |
২ | প্রাথমিক A2 | ১৮০-২০০ ঘণ্টা
(৯০ ঘণ্টা ক্লাস + ৯০-১১০ ঘণ্টা গ্রুপ স্টাডি ও নিজস্ব পড়াশুনা) |
৭ সপ্তাহ |
৩ | মাধ্যমিক B1 | ৩৫০-৪০০ ঘণ্টা | ৮ সপ্তাহ |
৪ | মাধ্যমিক B2 | ৫০০-৬০০ ঘণ্টা | ৮ সপ্তাহ |
৫ | অগ্রসর C1 | ৭০০-৮০০ ঘণ্টা | ৯ সপ্তাহ |
৬ | অগ্রসর C2 | ১০০০-১২০০ ঘণ্টা | ৯ সপ্তাহ |
সর্বমোট | ২৮৩৫-৩৩১৫ ঘণ্টা | ৪৮ সপ্তাহ |

General Arabic (Male) Beginner Level A1

General Arabic (Female) Beginner Level A1
বিশেষ প্রশিক্ষণ বিভাগ (পেশাজীবীদের জন্য)
পেশাগত দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালনের জন্য সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় ভাষা দক্ষতা অর্জনকে সহজলভ্য করতে ‘আরবি ভাষা ইনস্টিটিউট’ বিশেষ এই বিভাগটি চালু করেছে। বিভিন্ন পেশা (যেমনঃ কূটনীতি, আন্তর্জাতিক বানিজ্য, পর্যটন, চিকিৎসা ও দাতব্য, সাংবাদিকতা, অফিসিয়াল অনুবাদ ইত্যাদি) –তে কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্যে যারা দাপ্তরিক কাজে সহায়তা এবং নিজেদের কর্মক্ষেত্রে সফল দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য আরবি ভাষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন, তাদের জন্য এই বিভাগে দুই মাস থেকে ছয় মাসব্যাপী বিভিন্ন মেয়াদী কোর্স রয়েছে। আগ্রহী ব্যক্তির প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করে কোর্সের সময় বা দৈর্ঘ্যে কমবেশি হতে পারে। পাশাপাশি চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে ভাষা সনদ প্রদান করা হয়।
কোর্সের ফি, বিস্তারিত সময়সূচী ও নিবন্ধন কার্যক্রমের জন্য নীচের বাটনে ক্লিক করুণ।
আরবি ভাষায় দক্ষতার সার্টিফিকেশন পরীক্ষা (ALPCT)
আরবি ভাষায় দক্ষতার সার্টিফিকেশন হচ্ছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনুসৃত ও স্বীকৃত মান নির্ধারণী পদ্ধতির রূপরেখা অনুযায়ী ব্যক্তির ভাষা দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় প্রদত্ত সার্টিফিকেট শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জন্য সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ; কারণ এটি ভাষা দক্ষতার প্রমাণস্বরূপ কর্পোরেট অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিদেশে গমনের উদ্দেশ্যে জনশক্তি রপ্তানি ব্যুরোতে জমা দেয়া যাবে।
ভাষাদক্ষতার সার্টিফিকেশন পরীক্ষায় আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতে কঠোরভাবে মান যাচাই করা হয়ে থাকে। কারণ, এই পরীক্ষায় উচ্চ স্কোর অর্জন করা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গঠনের পথকে সুগম করে এবং বিদেশে উচ্চশিক্ষা, চাকুরি বা বসবাসের সুযোগ সৃষ্টি করে। একইভাবে এই সার্টিফিকেট শুধুমাত্র ব্যক্তির ভাষা দক্ষতার প্রমাণপত্র হিসাবেই কাজ করেনা; বরং আন্তসংযোগপূর্ণ বিশ্বায়নের যুগে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসাবেও বিবেচিত হয়।