ফতোয়া সেন্টার
আন নুর ইনস্টিটিউটের ফতোয়া সেন্টারে আপনাকে স্বাগতম। এখানে আমরা ইসলামি আইন (ফিকহ) শাস্ত্রের সমৃদ্ধ নীতিমালার আলোকে ক্রমঅগ্রসরমান পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থানরত মুসলিম সমাজে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয়ে সমাধান ও দিকনির্দেশনা প্রদানের চেষ্টা করি।
এখানে যোগ্য আলেম এবং বিশেষজ্ঞ মুফতিদের একটি দল বিভিন্ন বিষয়ে সূক্ষ্ম গবেষণা ও সমন্বিত পর্যালচনার মাধ্যমে ফতোয়া প্রদান করে থাকেন, যাতে তা যুগ চাহিদার সাথে সামাঞ্জস্যপুর্ণ হয়। আমরা ইসলামি শিক্ষার সামগ্রিক উপলব্ধির উপর জোর দিই, যা আমাদের উত্তরগুলোকে প্রাসঙ্গিক এবং প্রামাণিক উৎস থেকে দলিলনির্ভর হওয়া নিশ্চিত করে।
আন নুর ইনস্টিটিউটে, আমরা ইসলামের গভীর জ্ঞান বৃদ্ধি, ধর্মীয় সচেতনতার প্রচার এবং আত্মবিশ্বাস ও সততার সাথে আধুনিক জীবনের জটিলতাগুলি কাটিয়ে উঠতে প্রতিটি মানুষকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ফতোয়ার উৎস ও মূলনীতি
একটি ফতোয়া প্রদান কয়েকটি মৌলিক উৎসেরর উপর নির্ভর করে:
১- হানাফী মাযহাব, পাশাপাশি অন্য তিনটি প্রসিদ্ধ মাযহাব: এই মাযহাব সমূহ ফিকহ শাস্ত্রের বিশাল সম্পদ হিসাবে বিবেচিত হয়, যেখান থেকে সঠিক দলিলের ভিত্তিতে সবচেয়ে প্রাধান্যপূর্ণ (দৃঢ়) মতামত বেছে নেওয়া হয়।
২- ইসলামী আইনের সর্বসম্মত উৎস সমূহ: এর মধ্যে রয়েছে কুরআন, সুন্নাহ, ঐক্যমত্য (ইজমা), এবং উপমা (কিয়াস), যেগুলোকে আইন প্রণয়নের মৌলিক ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
৩- ইসলামী আইনের বিরোধপূর্ণ উৎস সমূহ: যেমন আইনগত পছন্দ (ইসতিহসান), জনস্বার্থ (মাসলাহ মুরসালাহ), অনুপথ রোধ করা (সাদ্দুয যারায়ই), সহায়ক দলিল (ইসতিসহাব), সামাজিক প্রথা (‘উরফ), সাহাবীদের মত (মাযহাবুস সাহাবী), এবং পূর্ববর্তী জাতির আইন (শরউ মান কাবলানা) । এগুলি বিশেষজ্ঞ আলেমদের স্বীকৃত শর্তাবলি এবং নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্যবহার করা হবে, বিশেষ করে এরসাথে বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট থাকবে।
ফতোয়া প্রদানের ক্ষেত্রে লক্ষণীয়ঃ
- বিশুদ্ধ দলিলঃ পাশাপাশি মূল উৎসগ্রন্থ থেকে উদৃতি দেয়া।
- অবস্থা পর্যবেক্ষণঃ যাতে ঘটনার সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগতি লাভ হয়।
- সহজিকরণঃ সর্বসাধারনের উপকারের জন্য।
আমরা সর্বক্ষেত্রে শরীয়তের মূল উদ্দেশ্যের প্রতি লক্ষ্য রাখি এবং এই উদ্দেশ্যের সাথে সাংঘর্ষিক যেকোন নিষিদ্ধ কৌশল থেকে বেঁচে থাকি।